"জীবন দর্শন"
"জীবনের পথে!"
আমরা জীবনে প্রত্যেকে একটাই কথা বলি যে জীবনে কতটা সফলতা পেয়েছি ও কোথায় কতটা বিফল হয়েছি। সময়কে দোষারোপ করেছি, নিজেদের পরিবারকেও দোষারোপ করেছি, আমিও করেছি।
আজ আমি বাইশ বছরের জীবনে সফল হওয়ার চেয়ে হয়তো অনেক বেশি বিফল হয়েছি। তবুও আমি বলবো যে আমি খুশি কারণ আমি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি , এই জীবনেই এবং সেটা খুব অল্প সময়ে।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আমাদের জীবন আসলে কি ???
আমাদের জীবন দুটো জিনিসের উপর ভর করে গড়ে উঠে একটা হলো Passion এবং অন্যটি হলো Profession. Passion এবং profession দুটো আলাদা জিনিস।
Passion জিনিসটা তোমার জীবনকে হাসি খুশিতে ভরে রাখতে সাহায্য করে , এই passion জীবনে এমন একটা energy নিয়ে আসে যা তোমাকে প্রতিটা দিন নতুন করে বাঁচার শক্তি দেয়।
আর profession এটা নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো , কারণ এই proffession এর চক্করে আমরা প্রতিদিন যন্ত্রচালিত হয়ে কাজগুলো করে চলি নিজের এবং পরিবারের ইচ্ছা গুলো পূরণ করতে।
সবাই আজ একটাই কথা বলে "MONEY IS IMPORTANT", এই কথাটা আজ আমিও মেনে চলি।
কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেছ, কতটা পরিমান টাকা তোমাকে জীবনে সুখ এনে দিতে পারে ?
দামি গাড়ি, বিলাসবহুল বাড়ি , ব্যাংক ভর্তি টাকা আর কিছু ?
কখনও কি বিশ্বের ধনী মানুষদের জীবন যাত্রাকে লক্ষ করে দেখেছো ?
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদি তুমি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষদের তালিকা খুঁজতে যাও , তাহলে দেখতে পাবে তারা কেউই ধনী মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করেনি, কেউই ব্যাংক ভর্তি টাকা নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি।
এখন একটাই প্রশ্ন তাহলে তারা ধনী মানুষ হলো কি ভাবে ?
এখন হয়তো তোমরা বলবে, সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিল। কিন্তু আমি বলবো এখানে ভাগ্য বলে কিছু হয় না, কর্মই সবকিছু।
একমাত্র তোমার পরিশ্রম আর তোমার লক্ষই তোমাকে তোমার সাফল্যে পৌঁছে দেবে।
কিন্তু কিভাবে তাই তো???
কখনো আপানি কি দেখেছেন কোনো ধনী ব্যক্তি সরকারি চাকরি করে অর্থ উপার্জন করে ধনী মানুষ হয়েছে, আজকের ধনী মানুষরা কখনোই সরকারি চাকরির পেছনে দৌড়ায়নি, উপরোন্তু ওরা চাকরি ছেড়ে নিজেদের স্বপ্ন গুলোর দিকে মনোনিবেশ করেছিল , তাই তারা আজ সফল মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে।
তবে তাদের এই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার রাস্তাটা এতটা মসৃন ছিল না যতটা আমরা কোনো ধনী ব্যাক্তির সফলতার গল্প পড়ে জানতে পারি। চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তারা আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে।
তুমিও এগিয়ে চলো তোমার সফলতার লক্ষ্যে , সফলতার রাস্তায় অনেক বাধা বিপত্তি আসবে তাই বলে কখনো পিছিয়ে আসবেনা, সফলতার রাস্তা কখনো মসৃন হয় না। তুমি যদি এখন ছাত্র অবস্থায় থাকো , তাহলে চাকরির পেছনে না দৌড়ে নিজেকে ধনী ব্যাক্তিদের জায়গায় রেখে , নিজের creative চিন্তা ভাবনা গুলোকে কাজে লাগিয়ে কোনো ছোট ছোট কাজে মনোনিবেশ করো।
আবার আপনি যদি বাবা/মা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ছেলে কিংবা মেয়েকে এখন থেকেই ওদেরকে ওদের চিন্তা ভাবনা গুলোর দিকে মনোনিবেশ করে নিজের মতো কাজ করতে দিন।
এখানে আপনার মনে প্রশ্ন আসছে ওরাতো ছোট, ওরা পড়াশুনা , খেলাধুলা ছাড়া কি বা করতে পারে !!
নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুনতো, সত্যিই কি ওরা কোনো কাজের নয় , কোনও কাজ কি ওরা করতে পারবে না ?
তাহলে একটা কথা ভেবে দেখুনতো আপনি কি ভেবেছিলেন আজ আপনি সংসারের দায়িত্ব সামলাবেন ? আপনি ছোটবেলা থেকে এই সব নিয়ে কখনোই ভাবেননি, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আপনিও সংসারের কাজ গুলো করার জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠেছেন।
সেই রকমই আজ থেকে আপনি আপনার ছেলে/মেয়েকে নিজের নিজের জায়গায় কাজ করার জন্য উৎসাহিত করুন অথবা কাজ করার মতো পারদর্শী করে তুলুন, ওরা ঠিক পারবেই। আর যদি নাইবা হয় তাহলে আপনি ওদের শিখিয়ে পড়িয়ে নিন, তাহলে ওরাই লাভবান হবে ভবিষ্যতে।
দুনিয়াতে এমন কোনো কাজ নাই যেগুলো আপনার ছেলে-মেয়েরা করতে পারবে না, প্রথম প্রথম হয়তো ওরা ভুল করবে কিন্তু সেই সঙ্গে অভিজ্ঞতাও বাড়বে।
এইভাবে একদিন দেখবেন ওরাও এক একজন Entrepreneur হয়ে উঠেছে, Money Management টা তখন ওদের হাতের মুঠোয়।
এই ভাবেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলুন , আমার আপনার সবার ছোট ছোট চেষ্টাতে আমাদের মহান ভারতবর্ষ ঠিক একদিন গরীব দেশ থেকে ধনী দেশে রূপান্তরিত হবে।
{ তবে এখানে বাবা-মা দের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলবো , কখনো জোর করে কিছু চাপিয়ে দেবেন না }
বি.দ্র.- একটা ছোট গাছ লাগান, জল দিন, পরিচর্যা করুন, বড় হয়ে ফলের সঙ্গে সঙ্গে ছায়াও দেবে।
বাংলা লেখাতে কোনো ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন ।
@soumya...
0 Comments
Thank you for your visit.
Please share with others....