সেলফি ম্যানিয়াতে আক্রান্ত যুবসমাজ, চলছে নতুনত্বের খোঁজ
কুড়ির দশকে দাঁড়িয়ে আমরা সবাই সেলফি তুলতে ব্যস্ত, কখনো বিয়ে বাড়িতে, কখনো জন্মদিনের পার্টিতে কখনোবা বন্ধুদের সাথে পার্কে ঘুরতে গিয়ে। এখানেই থেমে না থেকে সেই ছবি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আপলোড করাটা এখন ফ্যাশ্যান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোটামুটি আমরা সবাই আট থেকে আশি এই সেলফি ম্যানিয়াতে আক্রান্ত, এই সেলফি ম্যানিয়াকে উস্কে দিয়ে বাজারে এসেছে কম দামের মধ্যে অনেক সস্তার সেলফি মোবাইল। এই মোবাইল ফোনের হাত ধরেই আমরা আজ মডার্ন মানুষ হিসাবে বিবেচিত। আজকের দিনে কেউ আবার সামাজিক স্ট্যাটাস বজায় রাখতে গিয়েও সেলফি তুলছে। এই সেলফি জোয়ারে গা ভাসাতে গিয়ে, সেলফি গুলোর মধ্যে নতুনত্বের খোঁজে অনেকে আবার নিজের সঙ্গী/সঙ্গিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে আপলোড করছে। এই চিন্তা ভাবনা গুলো থেকেই জন্ম নিয়েছে সেক্স সেলফি। সম্প্রতি ব্রিটেনের এর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ফলে দেখা গেছে বিশ্বের প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ এই সেক্স সেলফি -তে আক্রান্ত। আজকের যুব-সমাজ এই সেলফি জোয়ারে গা ভাসাতে গিয়ে একটা ক্লিক করে নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি অথবা যৌনতার ছবিও তুলে ধরছে আমাদের মুঠোর মধ্যে থাকা ছোট মোবাইল ফোনটিতে। আবার কেউ কেউ কোনো কিছুর চিন্তা না করেই বিন্দাস মোবাইলের ক্যামেরার সামনে নির্দ্বিধায় নগ্ন হয়ে যাচ্ছে, সেই ফটো আর ভিডিও তুলে ধরছে facebook, whatsapp, instagram এর মত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে।
গবেষণায় জানা গেছে এই সেক্স সেলফি-ই উস্কে দিচ্ছে ধর্ষণের মতো অপরাধ মূলক কাজ কর্মকে।
এই ধরণের সেক্স সেলফি জাপান, চীন, ব্রিটেনে বেশি ব্যবহার হচ্ছে, আমাদের ভারতও এই দিক থেকে পিছিয়ে নাই, দক্ষিণ ভারতের কিছু শহরে এই সেক্স সেলফি এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। বাজারে ছড়িয়ে আছে কিছু অনলাইন ডেটিং এপ্লিকেশান, যেগুলোর মাধ্যমে যুবসমাজ আজ যৌনতায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।
এই ধরণের অভ্যাস গুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ করা না হলে গোটা বিশ্বে যৌন অপরাধ মূলক কাজ-কর্মের পরিসংখ্যান ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
@soumya...
0 Comments
Thank you for your visit.
Please share with others....